ঢাকা,শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

মালুমঘাটে খেলার মাঠ রক্ষার্থে তরুণদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল

বার্তা পরিবেশক ::

চকরিয়া উপজেলাধীন ডুলাহাজারা ইউনিয়নের মালুমঘাট স্টেশন চত্ত্বরে খেলার মাঠ রক্ষার্থে  আজ ১৪ আগষ্ট মঙ্গলবার সকাল ১০টায় মালুমঘাট ক্রীড়া উন্নয়ন পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত এক বিশাল মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার ফুটবল এসোসিয়েশন(ডিএফএ) এর সভাপতি ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগ এর সহঃসভাপতি ফজলুল করিম সাঈদী, উপস্থিত ছিলেন জাতীয় দলের তারকা ফুটবলার মোঃ ইব্রাহীম, মালুমঘাট ক্রীড়া উন্নয়ন পরিষদের আহবায়ক ও সাবেক জাতীয় ফুটবলার সাহেদ আজম সাগর, বিকেএসপির ফুটবলার মোঃ আরাফাত, সাইফুল মেম্বার, ডুলাহাজারা শেখ জামাল ক্লাবের সভাপতি মোঃ সাজ্জাদ হোসেন সহ এলাকার সর্বস্থরের তরুণ যুবক ছাত্ররা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাঈদী বলেন, জঙ্গি নয় মাঠে খেলে খেলোয়াড় হয়ে যুব সমাজ বাঁচতে চাই। আজকে ডুমখালী মাঠের নিয়মিত অনুশীলন করার ফলে মালুমঘাটের মোঃ ইব্রাহিম ও সু-শান্ত ত্রিপুরার মত ২জন জাতীয় তারকা ফুটবলার  আমরা উপহার পেয়েছি! অবিলম্বে ডুমখালী মাঠের পরিবর্তে অন্য জায়গায় রেললাইনের প্রকল্পের জায়গা চূড়ান্ত করার জোর দাবী জানান। উল্লেখ্য যে দোহাজারী-কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন প্রকল্পের কাজে সুবিশাল ডুমখালীর খেলার মাঠটি রেললাইনের প্রয়োজনীয় ভারি সরঞ্জাম রাখার জন্য প্রকল্পের উর্ধতন কর্মতাদের নজরে লাগে। এতে তারা উক্ত বিশাল মাঠটি চুক্তির বিনিময়ে ৩বছরের জন্য ভাড়া নেওয়ার জন্য ডুমখালী ক্রীড়া সংস্থার কমিটির সাথে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।

এদিকে মাঠ ভাড়ার কথা শুনে চরম উত্তেজনায় ক্ষিপ্ত হয়ে ডুমখালী মালুমঘাটের তরুণ ফুটবলার যুব সমাজ। প্রসঙ্গ এইযে ডুমখালী খেলার মাঠটি ডুলাহাজারা তথা চকরিয়া উপজেলার বৃহত্তম খেলার মাঠ। এই মাঠে বিকেলবেলায় গ্রামের কোমল ছাত্র ছাত্রীরা ক্রিকেট ফুটবল খেলে আনন্দ বিনোদন উপভোগ করে। তাছাড়া ডুমখালী মাঠের পাশে রয়েছে সরকারী বেসরকারি স্কুল মাদ্রাসা সহ বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। অবসরে ঐসব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মাঠে খেলা করে আনন্দ করে সময় কাটাই। অন্যদিকে এই মাঠ মালুমঘাটের বিভিন্ন বড় বড় তফসীরুল কোরআন মাহফিলের স্থান হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

মানবন্ধনের স্লোগান ছিলো “আমাদের দাবী মানতে হবে, মাঠের মালিক কেউ নন, আমদের মাঠে সবার মাঠ, মানতে হবে মানতে হবে!” মানবন্ধনটি মালুমঘাট স্টেশন চত্ত্বরের চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের দুই পাশে সারিবদ্ধভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে ও মহাসড়কে বিক্ষোভ মিছিল করে শান্তিপূর্ণভাবে পালন করা হয়, পরে স্টেশনের হানিফ কাউন্টারের সামনে সমাবেশ ও আলোচনার মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

পাঠকের মতামত: